লাউখালী বাওড় পাড়ের ৫৮০ জনের স্বপ্ন পরিণত হচ্ছে দুঃস্বপ্নে

- আপডেট সময় : ০২:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে
যশোর সদর উপজেলার লাউখালী বাওড় পাড়ের ৫৮০ জনের স্বপ্ন গিলে খাচ্ছে দখলদারেরা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাওড় অবমুক্ত হয়। নতুন করে স্বপ্ন দেখে বাওড় পাড়ের বাসিন্দারা। ৫৮০ জন চাদা তুলে ১২ লাখ টাকা তুলে দেন কোষাধাক্ষ কামরুল ইসলামের হাতে। প্রথম কিছুদিন ভালোই চলছিলো। এরপর দেখা দের বিপত্তি। মাছ বিক্রীতে অনিয়ম, খাবার কেনা, সার কেনা, সার প্রদান, শ্রমীকের মুজুরিসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রে পুকুর চুরির মত অনিয়মের অভিযোগ করেছে বাওড়ের অংশিদাররা। ইতমধ্যে এমন অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে একটি কল রেকর্ডে।
https://www.youtube.com/watch?v=koG9qyAEEno
বাওড়ের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বাওড় দেখাশোনার জন্য ৬ জনকে দেখাশনার দায়িত্ব দেন। বাওড়ের অংশিদার হিসেবে তিনি হাবিবুর রহমান, কামরুজ্জামান নান্নু, বিল্লাল হোসেন, মিজানুর রহমান, ফাতেমা আক্তার ও বাবুল হোসেনকে ৬ বছরের জন্য অংশিদার প্রদান করে চুক্তিপত্র করে দেন।
এই ৬ জন কামরুল ইসলামকে কোষাধাক্ষের দায়িত্ব দেন। কামরুল ইসলাম দায়িত্ব নিয়ে বাওড় লুটে পুটে খাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ বাকী অংশীদারা।
ইতমধ্যে কোষাধাক্ষ কামরুল ইসলাম ও মিজানুর রহমানের কথপোকোথনের একটি কল রেকর্ড ফাস হয়েছে। মিজানুর রহমানকে বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখিয়ে সকল অপকর্মের কথা শিকার করেন। কল রেকর্ডে শোনা যায় গভীর রাতে ৬০০ বস্তা খাবার ফেলে দিবো আর হিসাব দিবো ৮০০ বস্তা। সার মাটি দেওয়ার সময় ২-১ বস্তা সরিয়ে দিতে বলেন তিন। তিনি আরো বলেন মাছ দিতে হবে ২ জনে। মনে ১০০ টাকা করে আমাদের থাকবে। তারা বলেন কেউ বাধা দিতে আসছে ঠাপিয়ে দিবো, তুমি শুধু ঔষুধ পানি খাওয়ার জরিমানা দিয়ে দিয়ো। এমন অনেক ফাক ফোকরের খবর শুনে ফুসে উঠেছে সাধারন অংশীদাররা।
এ ব্যাপারে কামরুল ইসলাম বলেন, ভাই ও একটু মজা করে বলেছি। আর আপনি তো বোঝেন বাওড় চালাতে গেলে কত খরচ হয়। সব খরচ কি আমি পকেট থেকে করবো?
এ ব্যাপারে বাওড়ের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভাই কি আর বলবো, তারা এখন ক্ষমতার জোরে সাধারন মানুষের সম্পদ লুটে পুটে খাচ্ছে। তিনি বলেন আমার কিছু করার নাই, তাদের ক্ষমতা আছে, তারা গায়ের জোরে সব কিছু করছে।
এ ব্যাপারে যশোর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, আমি দ্রুত ব্যাপারটা দেখছি। আমরা অবশ্যয় সাধারন জনগনের পক্ষে কাজ করবো।