যশোর ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লাউখালী বাওড় পাড়ের ৫৮০ জনের স্বপ্ন পরিণত হচ্ছে দুঃস্বপ্নে নিরাপদ ইফতারি প্রস্তুতিতে জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসের প্রশিক্ষণ যশোর ডিবির আরও একটি বড় সাফল্য, সিনেমাটিক অভিযানে আটক ১৪ যশোর সেক্রেড হার্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন যশোরে জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিতকমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর যশোর আইটি পার্ক বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায়িক ক্ষতিপূরণ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ দু’মামলায় জামিন পেলেন যশোর আওয়ামী লীগ সভাপতি মিলন সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদারের ৪ বছরের জেল, সম্পদ বাজেয়াপ্ত যশোরে মশাল মিছিল

লাউখালী বাওড় পাড়ের ৫৮০ জনের স্বপ্ন পরিণত হচ্ছে দুঃস্বপ্নে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় : ০২:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

যশোর সদর উপজেলার লাউখালী বাওড় পাড়ের ৫৮০ জনের স্বপ্ন গিলে খাচ্ছে দখলদারেরা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাওড় অবমুক্ত হয়। নতুন করে স্বপ্ন দেখে বাওড় পাড়ের বাসিন্দারা। ৫৮০ জন চাদা তুলে ১২ লাখ টাকা তুলে দেন কোষাধাক্ষ কামরুল ইসলামের হাতে। প্রথম কিছুদিন ভালোই চলছিলো। এরপর দেখা দের বিপত্তি। মাছ বিক্রীতে অনিয়ম, খাবার কেনা, সার কেনা, সার প্রদান, শ্রমীকের মুজুরিসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রে পুকুর চুরির মত অনিয়মের অভিযোগ করেছে বাওড়ের অংশিদাররা। ইতমধ্যে এমন অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে একটি কল রেকর্ডে।

https://www.youtube.com/watch?v=koG9qyAEEno
বাওড়ের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বাওড় দেখাশোনার জন্য ৬ জনকে দেখাশনার দায়িত্ব দেন। বাওড়ের অংশিদার হিসেবে তিনি হাবিবুর রহমান, কামরুজ্জামান নান্নু, বিল্লাল হোসেন, মিজানুর রহমান, ফাতেমা আক্তার ও বাবুল হোসেনকে ৬ বছরের জন্য অংশিদার প্রদান করে চুক্তিপত্র করে দেন।
এই ৬ জন কামরুল ইসলামকে কোষাধাক্ষের দায়িত্ব দেন। কামরুল ইসলাম দায়িত্ব নিয়ে বাওড় লুটে পুটে খাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ বাকী অংশীদারা।
ইতমধ্যে কোষাধাক্ষ কামরুল ইসলাম ও মিজানুর রহমানের কথপোকোথনের একটি কল রেকর্ড ফাস হয়েছে। মিজানুর রহমানকে বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখিয়ে সকল অপকর্মের কথা শিকার করেন। কল রেকর্ডে শোনা যায় গভীর রাতে ৬০০ বস্তা খাবার ফেলে দিবো আর হিসাব দিবো ৮০০ বস্তা। সার মাটি দেওয়ার সময় ২-১ বস্তা সরিয়ে দিতে বলেন তিন। তিনি আরো বলেন মাছ দিতে হবে ২ জনে। মনে ১০০ টাকা করে আমাদের থাকবে। তারা বলেন কেউ বাধা দিতে আসছে ঠাপিয়ে দিবো, তুমি শুধু ঔষুধ পানি খাওয়ার জরিমানা দিয়ে দিয়ো। এমন অনেক ফাক ফোকরের খবর শুনে ফুসে উঠেছে সাধারন অংশীদাররা।
এ ব্যাপারে কামরুল ইসলাম বলেন, ভাই ও একটু মজা করে বলেছি। আর আপনি তো বোঝেন বাওড় চালাতে গেলে কত খরচ হয়। সব খরচ কি আমি পকেট থেকে করবো?


এ ব্যাপারে বাওড়ের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভাই কি আর বলবো, তারা এখন ক্ষমতার জোরে সাধারন মানুষের সম্পদ লুটে পুটে খাচ্ছে। তিনি বলেন আমার কিছু করার নাই, তাদের ক্ষমতা আছে, তারা গায়ের জোরে সব কিছু করছে।
এ ব্যাপারে যশোর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, আমি দ্রুত ব্যাপারটা দেখছি। আমরা অবশ্যয় সাধারন জনগনের পক্ষে কাজ করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

লাউখালী বাওড় পাড়ের ৫৮০ জনের স্বপ্ন পরিণত হচ্ছে দুঃস্বপ্নে

আপডেট সময় : ০২:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

যশোর সদর উপজেলার লাউখালী বাওড় পাড়ের ৫৮০ জনের স্বপ্ন গিলে খাচ্ছে দখলদারেরা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাওড় অবমুক্ত হয়। নতুন করে স্বপ্ন দেখে বাওড় পাড়ের বাসিন্দারা। ৫৮০ জন চাদা তুলে ১২ লাখ টাকা তুলে দেন কোষাধাক্ষ কামরুল ইসলামের হাতে। প্রথম কিছুদিন ভালোই চলছিলো। এরপর দেখা দের বিপত্তি। মাছ বিক্রীতে অনিয়ম, খাবার কেনা, সার কেনা, সার প্রদান, শ্রমীকের মুজুরিসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রে পুকুর চুরির মত অনিয়মের অভিযোগ করেছে বাওড়ের অংশিদাররা। ইতমধ্যে এমন অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে একটি কল রেকর্ডে।

https://www.youtube.com/watch?v=koG9qyAEEno
বাওড়ের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বাওড় দেখাশোনার জন্য ৬ জনকে দেখাশনার দায়িত্ব দেন। বাওড়ের অংশিদার হিসেবে তিনি হাবিবুর রহমান, কামরুজ্জামান নান্নু, বিল্লাল হোসেন, মিজানুর রহমান, ফাতেমা আক্তার ও বাবুল হোসেনকে ৬ বছরের জন্য অংশিদার প্রদান করে চুক্তিপত্র করে দেন।
এই ৬ জন কামরুল ইসলামকে কোষাধাক্ষের দায়িত্ব দেন। কামরুল ইসলাম দায়িত্ব নিয়ে বাওড় লুটে পুটে খাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ বাকী অংশীদারা।
ইতমধ্যে কোষাধাক্ষ কামরুল ইসলাম ও মিজানুর রহমানের কথপোকোথনের একটি কল রেকর্ড ফাস হয়েছে। মিজানুর রহমানকে বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখিয়ে সকল অপকর্মের কথা শিকার করেন। কল রেকর্ডে শোনা যায় গভীর রাতে ৬০০ বস্তা খাবার ফেলে দিবো আর হিসাব দিবো ৮০০ বস্তা। সার মাটি দেওয়ার সময় ২-১ বস্তা সরিয়ে দিতে বলেন তিন। তিনি আরো বলেন মাছ দিতে হবে ২ জনে। মনে ১০০ টাকা করে আমাদের থাকবে। তারা বলেন কেউ বাধা দিতে আসছে ঠাপিয়ে দিবো, তুমি শুধু ঔষুধ পানি খাওয়ার জরিমানা দিয়ে দিয়ো। এমন অনেক ফাক ফোকরের খবর শুনে ফুসে উঠেছে সাধারন অংশীদাররা।
এ ব্যাপারে কামরুল ইসলাম বলেন, ভাই ও একটু মজা করে বলেছি। আর আপনি তো বোঝেন বাওড় চালাতে গেলে কত খরচ হয়। সব খরচ কি আমি পকেট থেকে করবো?


এ ব্যাপারে বাওড়ের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভাই কি আর বলবো, তারা এখন ক্ষমতার জোরে সাধারন মানুষের সম্পদ লুটে পুটে খাচ্ছে। তিনি বলেন আমার কিছু করার নাই, তাদের ক্ষমতা আছে, তারা গায়ের জোরে সব কিছু করছে।
এ ব্যাপারে যশোর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, আমি দ্রুত ব্যাপারটা দেখছি। আমরা অবশ্যয় সাধারন জনগনের পক্ষে কাজ করবো।