যশোর ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিতকমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর যশোর আইটি পার্ক বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায়িক ক্ষতিপূরণ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ দু’মামলায় জামিন পেলেন যশোর আওয়ামী লীগ সভাপতি মিলন সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদারের ৪ বছরের জেল, সম্পদ বাজেয়াপ্ত যশোরে মশাল মিছিল যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ভাইপো রাকিবকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা রেস্তরা খাতের মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর দাবিতে যশোরে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান সরকারের ভ্যাট বৃদ্ধি অযৌক্তিক ও অন্যায়-যশোর চেম্বার অব কমার্স যশোর শহরে আ’লীগের ঝটিকা মিছিল বাড়ছে সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা মেয়াদ

দু’মামলায় জামিন পেলেন যশোর আওয়ামী লীগ সভাপতি মিলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে

চাঁদাবাজি ও মারপিট, মানহানী এবং হত্যার হুমকির অভিযোগে যশোর কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। বৃহস্পতিবার যশোর সদর আমলী আদালতে তিনি হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান। যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া পৃথক দুই মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্য মামলায় আটক দেখিয়ে প্রেরণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর সদর কোর্ট জিআরও খাইরুল ইসলাম।

আদালত সূত্র জানায়, শহিদুল ইসলাম মিলন ঢাকা কেরানীগঞ্জ কারাগারে একটি মামলায় আটক ছিলেন। যশোরের এই দুই মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখাতে যশোর আদালতে আনা হয়। শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে তার জামিনের আবেদন জানান আইনজীবী। বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে সাবেক নারী ও শিশু পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল মামলা করেন। পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল আদালতে করা অভিযোগে উল্লেখ করেন, জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় ভবনের সামনের ফুটপাত ব্যবসাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ স্থানীয় পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দেন। সেখানে তিনি যান মিমাংসার জন্য। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন একদল যুবক নিয়ে ওই ফাঁড়িতে যান। মিলন হঠাৎ মুস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে ‘ধান্দাবাজ’ আখ্যা দিয়ে মারপিট শুরু করেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে মুকুলকে হত্যারও হুমকি দেন শহিদুল। এ ঘটনায় গতবছরের ১১ জুন আদালতে মামলা করেন। যা আাদলতের নির্দেশে কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়।
অন্যদিকে, গত বছরের ২৭ জুন যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের আসাদুজ্জামানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং তার বাড়িতে নগদ ১০ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার, গবাদিপশু ও ধান, গম লুটপাটসহ জায়গা দখলের চেষ্টা করেন শহিদুল ইসলাম মিলন। এ ঘটনার দুই মাস পর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়।

তবে, এই দুই মামলায় পলাতক ছিলেন শহিদুল ইসলাম মিলন। সরকার পরিবর্তনের পর যশোর ত্যাগ করেন মিলন। গত ৩ অক্টোবর রাতে ঢাকা থেকে আটক হন তিনি। যশোরের ওই দুই মামলায় তাকে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে জামিন দিলেও তার বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দু’মামলায় জামিন পেলেন যশোর আওয়ামী লীগ সভাপতি মিলন

আপডেট সময় : ১১:৩৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

চাঁদাবাজি ও মারপিট, মানহানী এবং হত্যার হুমকির অভিযোগে যশোর কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। বৃহস্পতিবার যশোর সদর আমলী আদালতে তিনি হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান। যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া পৃথক দুই মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্য মামলায় আটক দেখিয়ে প্রেরণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর সদর কোর্ট জিআরও খাইরুল ইসলাম।

আদালত সূত্র জানায়, শহিদুল ইসলাম মিলন ঢাকা কেরানীগঞ্জ কারাগারে একটি মামলায় আটক ছিলেন। যশোরের এই দুই মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখাতে যশোর আদালতে আনা হয়। শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে তার জামিনের আবেদন জানান আইনজীবী। বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে সাবেক নারী ও শিশু পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল মামলা করেন। পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল আদালতে করা অভিযোগে উল্লেখ করেন, জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় ভবনের সামনের ফুটপাত ব্যবসাকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ স্থানীয় পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দেন। সেখানে তিনি যান মিমাংসার জন্য। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন একদল যুবক নিয়ে ওই ফাঁড়িতে যান। মিলন হঠাৎ মুস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে ‘ধান্দাবাজ’ আখ্যা দিয়ে মারপিট শুরু করেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে মুকুলকে হত্যারও হুমকি দেন শহিদুল। এ ঘটনায় গতবছরের ১১ জুন আদালতে মামলা করেন। যা আাদলতের নির্দেশে কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়।
অন্যদিকে, গত বছরের ২৭ জুন যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের আসাদুজ্জামানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং তার বাড়িতে নগদ ১০ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার, গবাদিপশু ও ধান, গম লুটপাটসহ জায়গা দখলের চেষ্টা করেন শহিদুল ইসলাম মিলন। এ ঘটনার দুই মাস পর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়।

তবে, এই দুই মামলায় পলাতক ছিলেন শহিদুল ইসলাম মিলন। সরকার পরিবর্তনের পর যশোর ত্যাগ করেন মিলন। গত ৩ অক্টোবর রাতে ঢাকা থেকে আটক হন তিনি। যশোরের ওই দুই মামলায় তাকে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে জামিন দিলেও তার বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।