যশোর ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিডিআর বিদ্রোহের বিচার কার্যক্রম এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা, বিচারকাজ বন্ধ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২১:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫ ২৭৪ বার পড়া হয়েছে
যশোর নিউজের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর বকশী বাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। এজলাসের সবকিছু পুড়ে যাওয়ায় বিচারকাজ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এজলাস কক্ষ সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। বিচারকের বসার টেবিল-চেয়ারসহ সবকিছুই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে বিচারকাজ পরিচালনার উপযোগী কোনো পরিস্থিতি নেই।

সকালে বিচারপতি ইব্রাহিম মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিচারকাজ চালানোর জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পরবর্তী বিচারকাজ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

আদালত প্রাঙ্গণে এসে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘বিচারকাজ চালানোর মতো স্বাভাবিক অবস্থা নেই। বিচারক এখানে উপস্থিত হয়েছেন। এখন ওনার পক্ষ থেকে কী নির্দেশনা আসে সেটার অপেক্ষায় আছি।’

এদিকে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে মাদ্রাসার সামনের সড়কে অবস্থান নেয় আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনের সড়ক, বকশী বাজার মোড় এবং আশপাশের গলির প্রবেশমুখ বাঁশ দিয়ে আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। এতে বকশীবাজার মোড় থেকে শিক্ষা বোর্ড এবং চকবাজারের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে। হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয়। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

বিডিআর বিদ্রোহের বিচার কার্যক্রম এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা, বিচারকাজ বন্ধ

রাজধানীর বকশী বাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। এজলাসের সবকিছু পুড়ে যাওয়ায় বিচারকাজ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ওই মাঠে অস্থায়ী আদালতে বিডিআর বিদ্রোহের বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এজলাস কক্ষ সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। বিচারকের বসার টেবিল-চেয়ারসহ সবকিছুই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে বিচারকাজ পরিচালনার উপযোগী কোনো পরিস্থিতি নেই।

সকালে বিচারপতি ইব্রাহিম মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিচারকাজ চালানোর জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পরবর্তী বিচারকাজ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

আদালত প্রাঙ্গণে এসে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘বিচারকাজ চালানোর মতো স্বাভাবিক অবস্থা নেই। বিচারক এখানে উপস্থিত হয়েছেন। এখন ওনার পক্ষ থেকে কী নির্দেশনা আসে সেটার অপেক্ষায় আছি।’

এদিকে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে মাদ্রাসার সামনের সড়কে অবস্থান নেয় আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনের সড়ক, বকশী বাজার মোড় এবং আশপাশের গলির প্রবেশমুখ বাঁশ দিয়ে আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। এতে বকশীবাজার মোড় থেকে শিক্ষা বোর্ড এবং চকবাজারের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে। হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয়। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিডিআর বিদ্রোহের বিচার কার্যক্রম এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা, বিচারকাজ বন্ধ

আপডেট সময় : ০৭:২১:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর বকশী বাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। এজলাসের সবকিছু পুড়ে যাওয়ায় বিচারকাজ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এজলাস কক্ষ সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। বিচারকের বসার টেবিল-চেয়ারসহ সবকিছুই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে বিচারকাজ পরিচালনার উপযোগী কোনো পরিস্থিতি নেই।

সকালে বিচারপতি ইব্রাহিম মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিচারকাজ চালানোর জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পরবর্তী বিচারকাজ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

আদালত প্রাঙ্গণে এসে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘বিচারকাজ চালানোর মতো স্বাভাবিক অবস্থা নেই। বিচারক এখানে উপস্থিত হয়েছেন। এখন ওনার পক্ষ থেকে কী নির্দেশনা আসে সেটার অপেক্ষায় আছি।’

এদিকে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে মাদ্রাসার সামনের সড়কে অবস্থান নেয় আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনের সড়ক, বকশী বাজার মোড় এবং আশপাশের গলির প্রবেশমুখ বাঁশ দিয়ে আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। এতে বকশীবাজার মোড় থেকে শিক্ষা বোর্ড এবং চকবাজারের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে। হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয়। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

বিডিআর বিদ্রোহের বিচার কার্যক্রম এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা, বিচারকাজ বন্ধ

রাজধানীর বকশী বাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। এজলাসের সবকিছু পুড়ে যাওয়ায় বিচারকাজ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ওই মাঠে অস্থায়ী আদালতে বিডিআর বিদ্রোহের বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এজলাস কক্ষ সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। বিচারকের বসার টেবিল-চেয়ারসহ সবকিছুই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে বিচারকাজ পরিচালনার উপযোগী কোনো পরিস্থিতি নেই।

সকালে বিচারপতি ইব্রাহিম মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিচারকাজ চালানোর জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পরবর্তী বিচারকাজ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

আদালত প্রাঙ্গণে এসে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘বিচারকাজ চালানোর মতো স্বাভাবিক অবস্থা নেই। বিচারক এখানে উপস্থিত হয়েছেন। এখন ওনার পক্ষ থেকে কী নির্দেশনা আসে সেটার অপেক্ষায় আছি।’

এদিকে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে মাদ্রাসার সামনের সড়কে অবস্থান নেয় আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনের সড়ক, বকশী বাজার মোড় এবং আশপাশের গলির প্রবেশমুখ বাঁশ দিয়ে আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। এতে বকশীবাজার মোড় থেকে শিক্ষা বোর্ড এবং চকবাজারের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে। হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয়। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।