যশোর ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে, থাকবে কালও

ডি এইচ দিলসান
  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫ ২৮ বার পড়া হয়েছে
যশোর নিউজের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি


মুখ লুকিয়ে থাকা সূর্যের দেখা মিললেও যশোরে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। উত্তরে হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে কাঁপছে যশোর। বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরেই। এদিন সকাল ছয়টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পাশাপাশি কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। যার ফলে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবারও যশোরে তাপমাত্রা কম থাকবে এবং শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে যশোর মতিউর রহমান বিমানঘাঁটি আবহাওয়া দপ্তর।
যশোর মতিউর রহমান বিমানঘাঁটি আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৬টার দিকে যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা দেশের সর্বনিম্ন। এই তাপমাত্রার পাশাপাশি কয়েক দিন ধরে রাতে ও সকালে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে গোটা এলাকা। আর সেই সাথে হাড় কাঁপানো বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। এতে দিনমজুর শ্রেণির নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন বিপাকে।
এদিকে শীতে বেছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে দেখা যাচ্ছে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুদের চিকিৎনা নিতে। যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও শহরের নিউমার্কেটসহ শিশু হাসপাতালে শিশুদের ঠান্ডা জনিত রোগে চিকিৎসা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।
যশোর সদও উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী বলেন, কয়েকদিন ধরে ধরে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বহির্বিভাগে বয়স্ক ও শিশুদের চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। একই সঙ্গে সদও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, শীত বাড়ছে, বয়স্ক ও শিশুদের আলাদা যতœ নিতে হবে। গরম পানিতে গোসল করাতে হবে। শীত নিবারণে গরম পোশাক পরিধান ও সন্ধ্যার পরে দ্রুত ঘরে প্রবেশ করে নিরাপদ স্থানে থাকতে হবে।
এদিকে তীব্র শীতে কদর বেড়েছে গরম কাপড়ের। শীত নিবারণে মানুষ ছুটছে গরম কাপড়ের খোঁজে। গত তিনদিন ধরে শহরের পুরনো কাপড়ের নিক্সন মার্কেট ও কালেক্টরেট মার্কেটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
পুরানো কাপড় মার্কেটের ব্যবসায়ী রেহমান রকি বলেন, শীত পড়ায় প্রচুর পরিমাণে বেলভাঙা কাপড় বিক্রি হচ্ছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের গরম কাপড়ে চাহিদা বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে, থাকবে কালও

আপডেট সময় : ০১:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫


মুখ লুকিয়ে থাকা সূর্যের দেখা মিললেও যশোরে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। উত্তরে হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে কাঁপছে যশোর। বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরেই। এদিন সকাল ছয়টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পাশাপাশি কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। যার ফলে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবারও যশোরে তাপমাত্রা কম থাকবে এবং শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে যশোর মতিউর রহমান বিমানঘাঁটি আবহাওয়া দপ্তর।
যশোর মতিউর রহমান বিমানঘাঁটি আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৬টার দিকে যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা দেশের সর্বনিম্ন। এই তাপমাত্রার পাশাপাশি কয়েক দিন ধরে রাতে ও সকালে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে গোটা এলাকা। আর সেই সাথে হাড় কাঁপানো বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। এতে দিনমজুর শ্রেণির নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন বিপাকে।
এদিকে শীতে বেছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে দেখা যাচ্ছে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুদের চিকিৎনা নিতে। যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও শহরের নিউমার্কেটসহ শিশু হাসপাতালে শিশুদের ঠান্ডা জনিত রোগে চিকিৎসা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।
যশোর সদও উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী বলেন, কয়েকদিন ধরে ধরে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বহির্বিভাগে বয়স্ক ও শিশুদের চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। একই সঙ্গে সদও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, শীত বাড়ছে, বয়স্ক ও শিশুদের আলাদা যতœ নিতে হবে। গরম পানিতে গোসল করাতে হবে। শীত নিবারণে গরম পোশাক পরিধান ও সন্ধ্যার পরে দ্রুত ঘরে প্রবেশ করে নিরাপদ স্থানে থাকতে হবে।
এদিকে তীব্র শীতে কদর বেড়েছে গরম কাপড়ের। শীত নিবারণে মানুষ ছুটছে গরম কাপড়ের খোঁজে। গত তিনদিন ধরে শহরের পুরনো কাপড়ের নিক্সন মার্কেট ও কালেক্টরেট মার্কেটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
পুরানো কাপড় মার্কেটের ব্যবসায়ী রেহমান রকি বলেন, শীত পড়ায় প্রচুর পরিমাণে বেলভাঙা কাপড় বিক্রি হচ্ছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের গরম কাপড়ে চাহিদা বেশি।